ঢাকা , বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জমিতে ইক্ষু লাগালেন মসজিদ কমিটি, কর্তন করলেন প্রতিপক্ষরা।


আপডেট সময় : ২০২৫-০৯-০৩ ১৬:৪৯:০১
জমিতে ইক্ষু লাগালেন মসজিদ কমিটি, কর্তন করলেন প্রতিপক্ষরা। জমিতে ইক্ষু লাগালেন মসজিদ কমিটি, কর্তন করলেন প্রতিপক্ষরা।
 
রানা ইসলাম বদরগঞ্জ রংপুর। 
 
রংপুরে বদরগঞ্জে মসজিদের তফসিল বর্নিত জমি দখল করার চেষ্টায় লিপ্ত প্রতিপক্ষ। লাগানোর জমি থেকে কিছু ইক্ষু কেটে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন, মসজিদ কমিটির লোকজন।

এ ঘটনায় মসজিদ কমিটির সভাপতি লিপ্টন থানায় তিন জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন, কাশমেরি বেগম, মাহমুদা বেগম, আশরাফুল ইসলাম। 
 
থানায় লিখিত অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, লোহানীপাড়ার ইউনিয়ন তেলিপাড়া গ্রামের মসজিদের তফসিল বর্নিত ৮০ শতক জমি রয়েছে। সেই জমি বিবাদী কাশমেরি বেগম ও মাহমুদা বেগম নিজেদের দাবি করে চলতি বছরে দিকে থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন। পরে তারা আদালত ও মামলা করেন।

পরবর্তীতে প্রশাসন হস্তক্ষেপে দুই পক্ষের বৈঠকে পরে ঐ ৮০ শতক জমি মূল্য কাশমেরি বেগমকে দিয়ে দেন মসজিদ কমিটির লোকজন। যার মূল্য ৫,২৫০০০টাকা। মসজিদ কমিটির লোকজন ঐ ৮০ শতক জমির জন্য  জয়পুরহাট চিনিকল আখ বীজ, সার, কীটনাশক নিয়ে আসেন। জমিতে ইক্ষু রোপণ করে। কিন্তু এরপরই বিবাদী কাশমেরি, মাহমুদা, আশরাফুল, মসজিদ তফসিল বর্নিত জমি দখলের পায়তারা লোভ করে আসছেন।

গত সোমবার ১লা সেপ্টেম্বর জমিতে লাগানো ৫ ফুটের বেশি লম্বা হওয়া ইক্ষুগুলো পরিচর্যা করছিলেন, বক্কর নামে একজন আদিয়ার। হঠাৎ সেখানে উপস্থিত হয় বিবাদীরা এবং বক্কর কে হুমকি, গালিগালাজ করে বলে এই জমি আমাদের এখান থেকে চলে যা না হলে পরিণাম ভাল হবে না। এক পর্যায়ে বক্কর  সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় বিবাদীর। পরে বেশ কিছু ইক্ষু কেটে নিয়ে যায় বিবাদীরা। 
 
এবিষয়ে মসজিদ জমি চাষাবাদ করা বক্কর বলেন, মাহমুদা, কাশমেরি জোরে হাঁটি আসে আমার কাছে। এসময় তাদের হাতে ছিল কাস্তে। আমাকে কাস্তের ভয় দেখায় এবং জমি থেকে চলে যেতে বলে।
 
মমিনুল ইসলাম নামে এক ব্যাক্তি বলেন, থানা পুলিশের মাধ্যমে জমিটির বিষয়ে টাকার বিনিময়ে আপস হয় তাদের সঙ্গে। তারপরও তারা জমির থেকে পিছু হটছেননা। আমি অভিযুক্তদের কঠিন বিচার চাই আইনের কাছে। 
 
অভিযুক্ত কাশমেরী ও মাহমুদা বেগম বলেন, আমাদের জমি আমরা চাষ করবো। আমাদের কাছে আদালতের রায় আছে। তারা এগুলো মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।
 
সাহেবগঞ্জ এলাকায় একজন পানের দোকানী বলেন, আল্লাহর ঘরের উন্নয়ন ও সংস্কারের  হয়। ওই জমির ফসল বিক্রি করে। কিন্তু কাশেমরী, মাহমুদা এরা জোরপূর্বক জমিটি দখলের চেষ্টা করছেন। আমরা আইনের কাছে ন্যায্য বিচার চাই। 
 
সাহেবগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সহ-সভাপতি মোঃ হিরু বলেন, ওই ৮০শতক জমি থানা পুলিশের মাধ্যমে এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে তাদেরকে ৫ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। তারপরও তারা জমির লোভ ছাড়তে পারছেন না। এই জমি থেকে যা আয় হয় তা দিয়ে মসজিদের উন্নয়নে কাজে লাগানো হয়।  
 
বদরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একে এম আতিকুর রহমান বলেন, এ ঘটনা একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ